জয়যাত্রা ডেস্ক :
– অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে
– উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, রক্তশূন্যতা থাকলে
– দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করলে
– চোখের আঘাত বা যেকোনো অস্ত্রোপচার।
– চোখের ছানি অপারেশন না করালে
– চোখের অন্যান্য রোগের কারণে।
লক্ষণ
– ঘন ঘন মাথা ব্যথা বা চোখে ব্যথা হওয়া।
– দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমে আসা বা দৃষ্টির পারিপার্শ্বিক ব্যাপ্তি কমে আসা। অনেক সময় চলতে গিয়ে দরজার পাশে বা অন্য কোনো পথচারীর গায়ে ধাক্কা লাগা।
– মৃদু আলোতে কাজ করলে চোখে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
– চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি।
ডায়াবেটিক রোগীর চোখের যত্ন
যদি গ্লুকোমা হয় তবে রেটিনার ওপর চাপ বাড়তে থাকে। এর ফলে রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আস্তে আস্তে চোখ অন্ধ হয়ে যায়। ডায়াবেটিস থাকলে তাই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
চিকিৎসা
গ্লুকোমা রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব; কিন্তু নিরাময় সম্ভব নয়। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো এই রোগের চিকিৎসা সারা জীবন করিয়ে যেতে হবে।
এ রোগের প্রচলিত তিন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে—
ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা, লেজার চিকিৎসা এবং সার্জারি।
যেহেতু চোখের উচ্চ চাপ এই রোগের প্রধান কারণ, তাই ওষুধের মাধ্যমে চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। একটি ওষুধে নিয়ন্ত্রণে রাখা না গেলে একাধিক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
তিন মাস অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শে দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা, চোখের চাপ পরীক্ষা, দৃষ্টি ব্যাপ্তি বা ভিজ্যুয়াল ফিল্ড পরীক্ষা, চোখের নার্ভ পরীক্ষা করাতে হবে।
ডায়াবেটিস থাকলে চোখের বিভিন্ন ক্ষতি হয়। তাই নিয়মিত চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত। অবহেলা করা উচিত নয়।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. তাসরুবা শাহনাজ
কনসালট্যান্ট
বসুন্ধরা আই হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট