এস.এম.ফেরদৌস, গাইবান্ধা প্রতিনিধি।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো চলছে না। বিশেষ করে দিন-দিন দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের জীবন কে করেছে নাকাল।
যারা দিন আনে দিন খায় তাদের অবস্থা আরো বেগতিক। দৈনিক আয়ের টাকা দিয়ে চাল-ডাল ক্রয় করা দূঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। এমনকি মধ্যবিত্ত পরিবারের অবস্থা অকল্পনীয়।
আয়ের চেয়ে ব্যয় এর বৈষম্য দিনকে দিন বেড়েই চলছে। পূর্বের প্রচলিত কথা আয় বুঝে ব্যয় করো পরিবর্তন করে বলতে হচ্ছে ব্যয় বুঝে আয় করো।
কিন্তু এমনটি দূর্নীতিবাজ ছাড়া আর কার পক্ষে সম্ভব?
যা হোক আসল কথায় আসি, সমাজে বিদ্যমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে হিজড়াদের অবস্থান খুবই নগণ্য।
তারা ঐক্যবদ্ধ ভাবে সমাজে চলাফেরা করে। তারা নিজেদের অধিকার রক্ষায় গড়ে তুলেছে সংগঠন,যা তাদের কে করেছে শক্তিশালী। বর্তমান সময়ে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ফান্ড থেকে আর্থিক সহায়তাও পায় তারা।
ইদানিং কালে তাদের তৎপরতা গ্রাম-গন্জে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যাদের দেখা যেত শহরে।
গ্রামের সাধারণ মানুষ তাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ। কারো সন্তান এর জন্ম, আকিকা অথবা বিয়ের অনুষ্ঠান হলেই দলবল সহ বাড়িতে হাজির হিজড়ারা। তাদের দাবি অনুযায়ী দিতে হয় চাঁদা।
না দিলেই শুরু হয় মানুষিক নির্যাতন, কোন কোন ক্ষেত্রে তা শারীরিক হেনস্থার দিকেও গড়ায়। এই ধরুন কোন বাড়িতে সন্তান জন্ম নিয়েছে এ তথ্য তারা পেল সাথে সাথেই তারা হাজির ।
এরপর গ্রুপের কোন একজন সদস্য কৌশলে শিশুটি কে কোলে তুলতে পারলেই হলো ব্যস! শুরু হয়ে যাবে অবৈধ আবদার চাল দাও, টাকা দাও, এটা দাও, সেটা দাও।
দিতে অস্বীকৃতি জানালে অথবা চাহিদা অনুযায়ী দিতে না পারলেই , শুরু হয় তাদের বিকৃত আচরণ এই যেমন শিশু বাচ্চাকে নিয়ে নাচানাচি ।
এতে বাচ্চা ভয়ে অনেক কান্নাকাটি করলেও তাদের মন গলেনা, মনে হয় হয় যেন কোন অপহরণকারীর হাতে অপহৃত কিছু। এছাড়াও রয়েছে সবার সামনে উলঙ্গ নাচের প্রদর্শন।
যা খুবই পীড়াদায়ক। প্রকাশ্যে পায়খানা করে তা বাড়ি-ঘরে লেপ্টে দেওয়ার হুমকি।
বাধ্য হয়েই তাদের দিতে হয় তাদের চাহিদা মতো চাঁদার টাকা ও চাল। প্রায় সব ক্ষেত্রেই এসব চাঁদা দিতে গিয়ে অনেকেই আর্থিক সঙ্কটে পড়েন এমনকি হিজড়াদের কে অভিসম্পাত করেন।
সরকার ও দায়িত্বশীলরা কী এসবের খোঁজ রাখেন।
সরজমিনে এসব ঘটনার ভূক্তভোগীর প্রমাণ মেলে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটার বিভিন্ন এলাকায়।
তাদের দেয়া তথ্য মতে জানা যায় বিভিন্ন পারিবারিক প্রোগ্রাম যেমন বিয়ে, আকিকা ও শিশুর জন্ম এছাড়াও অন্যান্য অনুষ্ঠানে তাদের অবাঞ্ছিত অনূপ্রবেশ এবং চাঁদা আদায় জনজীবন কে করেছে অতিষ্ঠ।
বিভিন্ন গ্রামে রয়েছে এদের দালাল, যারা তাদের মোবাইল এর মাধ্যমে তথ্য দিয়ে চাঁদার অর্থের ভাগ নেয়।
সর্ব নিম্ন হাজার টাকা এবং চাল দিতেই হবে। দিতে অস্বীকৃতি জানালে চলে সন্ত্রাসী কায়দায় আদায়ের চেষ্টা।
ভূক্তভোগী জনসাধারণ কার কাছে এর বিচার চাইবে? অথবা প্রতিকার করবে কে?