এস এম শফিকুল ইসলাম,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ সব স্ত্রীলোক ভগবতীর এক একটি রুপ। শুদ্ধাতা কুমারীতে ভগবতীর বেশি প্রকাশ। আর আরাধনার মধ্য দিয়ে দেবীকে কুমারী মেয়ের মাঝে বাস্তবরূপে খুঁজে পেতে জয়পুরহাটের মাদারগঞ্জ পুজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হলো কুমারী পুজা।
শারদীয় দুর্গা উৎসবের মহা অষ্টমীর দিনে মাদারগঞ্জ পুজা মন্ডপে কুমারী মেয়েকে দেবীর আসনে বসিয়ে শত শত ভক্ত আর পুজারীরা দেবীর সান্নিধ্য লাভের আশা করেন।
আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টায় জয়পুরহাট পৌর সদরের মাদারগঞ্জ দুর্গাপূজা উদর্যাপন কমিটির উদ্যেগে এই কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। এই কুমারী পূজায় শহরের পূর্ব বাজার, মারোয়ারীপট্রি এলাকার অলক আগরওয়ারের শিশু কন্যা মন্দির ভিত্তিক স্কুলের প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী ইতি আগরওয়াল কুমারীর আসনে বসলে পূজা অর্চনা শুরু হয়। অসুরবধে চক্র, গদা, তির, ধনুক, খড়গ-কৃপাণ-ত্রিশূল হাতে মাতৃরূপে দেবী হেসে উঠেছেন।
দূর কৈলাস ছেড়ে দুর্গা পিতৃগৃহে আসবেন দোলায়, গমন করবেন ঘোটকে ।
কুমারী পূজা শেষে ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয় ।
শনিবার বিজয়া দশমীতে দেবীবরণ, অপরাজিতা পূজা ও সিঁদুর খেলার পর বিদায় নেবেন দেবী দূর্গা।
শনিবারে বিজয়াদশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও হিন্দু সাস্ত্রমতে, শনিবার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না।
সে কারনে রোববার সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের শাখা যমুনা নদীতে বিসর্জন দেওয়া হবে বলে জানান, জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় বারোয়ারী মন্দিরের পুরোহিত শ্রী প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী ।
জয়পুরহাট সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্ণেল জুবায়ের বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন এবং কমিটির সদস্য সহ পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলেন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে জানান, জয়পুরহাট জেলায় সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা আয়োজনের জন্য পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মহীউদ্দীন জাহাঙ্গীর জানান, প্রতিটি পূজা মন্ডপের জন্য সরকারি ভাবে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জয়পুরহাট জেলায় এবার ২৯০ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।