নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার মৃত ইস্যু নয়, বরং এটিই এখন সবচেয়ে জীবন্ত ইস্যু বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর আগের মতো আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি প্রতারণার শিকার হতে চায়না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি নির্বাচন চায়। তবে তা হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ডেড ইস্যু নয়। এখন সবচেয়ে লাইভ ইস্যু হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আওয়ামী লীগ কেন তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করেছে? কারণ তারা জানে, সুষ্ঠু ভোট হলে ১০ শতাংশও ভোট আওয়ামী লীগ পাবে না।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে শনিবার এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেনি মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন শুরু হলে কেউ কোন নেতাকর্মীকে আটক করতে পারবে না। এটা কে বিশ্বাস করবে? বিএনপির আওয়ামী লীগের কাছে দুইবার প্রতারণার শিকার হয়েছে। আর কোনো প্রতারণার স্বীকার হবে না।
২০১৮ নির্বাচনে আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অতীতে সরকারের সাথে বিএনপি আলোচনায় গিয়েছিল মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কাজে আসেনি।
‘সে জন্যই এবার আগে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নির্বাচন কমিশন পূর্ণগঠন হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ছে, দীর্ঘমেয়াদী শক্তিশালী উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিএনপির কথাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। আগে উন্নয়নের, পরে গণতন্ত্র- আওয়ামী লীগের এসব অচল নীতি।
মির্জা ফখরুল প্রশ্ন তোলেন, এত বিদ্যুৎ গেল কই? জ্বালানি নাই, ডলার সংকট, তাহলে এত এত ঢোল বাজানো আর বিলিয়ন ডলারের অহংকার! দুর্নীতির কারণে জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎ প্লান্টগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আইএমএফ এর শর্ত পূরণে বারবার বিদ্যুৎ এর দাম বাড়ালেও এই টাকাগুলো কোথায় গিয়েছে?
তিনি বলেন, সম্পূর্ণভাবে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার জনগণের ওপর চড়াও হয়েছে। উন্নয়নের ভুল তথ্য এতদিন ছড়িয়ে এসেছে। অথচ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এখন উঠে এসেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।