রবিউল ইসলাম ,ঝিনাইদহঃ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আম কিনে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে আসছিল একটি প্রতারক চক্র। গত ১৩ জুন২০২৩ইং ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৭নং মহারাজপুর ইউনিয়নের খামারাইল গ্রাম থেকে এই চক্রের সদস্যরা ১৮০ ক্যারেট আম বাকীতে কিনে নিয়ে যায়। এরপর বাগান মালিক টাকার জন্য যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ করে দেয়।
বাধ্য হয়ে আমবাগানের মালিক খামারাইল গ্রামের শাহাদৎ হোসেন,ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন। মামলার সুত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে আসে প্রতারণার অভিনব কৌশল। গ্রেফতার হয় প্রতারক দলের চার সদস্য।
২৩/০৬/২০২৩ইং শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা প্রতারক চক্রের প্রতারণার বিষয়ে গনমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মামলা রেকর্ড হওয়ার পর ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই ফরিদ হোসেন গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ঢাকার বাবু বাজারের কদমতলী এলাকা থেকে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরের আবেদ আলীর ছেলে সাদেক ওরফে শেখ সাদিকে গ্রেফতার করে।
তার দেয়া তথ্যমতে রাজশাহী জেলার বানেশ^র এলাকা থেকে প্রতারক দলের মুল হোতা শিবালয় উপজেলার দক্ষিন তেওতা গ্রামের কফিল উদ্দীন খানের ছেলে আব্দুর রহিম মুন্সি এবং তার দুই সহযোগী মানিকগঞ্জের ডাউটিয়া গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আব্দুর রাকিব রাকিব ও একই গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে জীবনকে একটি পিকআপ ভ্যানসহ (ঢাকা মেট্রো-ন-২৩-২৫২৫) গ্রেফতার করে।
ওসি আরো জানান, এই প্রতারক চক্র ইতিমধ্যে চার লাখ টাকার আম আত্মসাৎ করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।