নিজস্ব প্রতিবেদক: রোববার (২৩ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ-জাপান ইকনোমিক রিলেশনস ফর দ্য নেক্সট ফিফটি ইয়ার্স: ফর দ্য ইন্ডাস্ট্রি আপগ্রেডেশন অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন,
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের হাতে সম্পদ বলতে ছিল তাদের জনশক্তি। এর বাইরে জাপানের কিছুই ছিল না। সেই জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জাপান এতদূর এসেছে। এখান থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু শেখার আছে।
দেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার গুরুত্ব উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশের জনশক্তি যত দক্ষ হবে, বাইরে থেকে তত বেশি বিনিয়োগ আসবে। প্রযুক্তি এবং দক্ষতার সমন্বয়ে এমন একটি জনশক্তি গড়ে তোলা হবে; যা দেশের প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়ক হয়। জনশক্তি দক্ষ হলে, কম সময়ে বেশি ফলাফল আসতে বাধ্য।’
জাপানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এশিয়ার মধ্যে ভারতের পরেই বাংলাদেশের বৃহৎ রফতানি বাজার জাপান। গত বছর জাপানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে উন্নত হবে। এক্ষেত্রে জাপানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।’
বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বিকাশমান একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরি হচ্ছে। এতে করে একদিকে বড় হচ্ছে ভোক্তা বাজার, অন্যদিকে বাড়ছে দক্ষ জনশক্তির সংখ্যা। জাপানের বিভিন্ন কোম্পানি চাইলে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে পারে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ূন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাপানের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়াসুতুসি নিশিমুরা প্রমুখ।