মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ ,বগুড়া প্রতিনিধি: বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসির মরহুম আলামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী’র গায়েবানা জানাযার ঘোষনার দেওয়ার পর পুলিশ বগুড়া জেলাব্যাপী অভিযান চালিয়ে জামায়াতের জেলা আমীরসহ জামাযাত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জেলা বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বগুড়া পশ্চিম জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওঃ আব্দুল হক সরকার, আসলাম হোসেন বিপু, হামিদুল হক তোতা, মিকাঈল ইসলাম, মাঝহারুল, দুপচাঁচিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মোঃ মনছুর রহমান, মাওঃ ওমর আলী, ফাসিরুল ইসলাম, মোঃ ফরিদ উদ্দিন, মোঃ মুছা, আমিমুর রহমান, মাওঃ আব্দুল হামিদ, মোঃ আতাউর রহমান, মোঃ শাহিনুর রহমান, মোঃ রাকিব হোসেন ও মোবারক হোসেন, একরামুল হক, সোহাগ মিয়া, এনামুল হক ও বাদশা মিয়া। জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার আমীর অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল ও সেক্রেটারী অধ্যাপক আ,স,ম আব্দুল মালেক, পূর্ব জেলা আমির অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন, সেক্রেটারী মাওলানা মানসুরুর রহমান, পশ্চিম জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দল হাকিম ও সেক্রেটারী মঞ্জুরুল ইসলাম যৌথ এক বিবৃতিতে পুলিশের গ্রেফতার অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতবৃন্দ বলেন, “বিশ্ব বরেণ্য আলেমে দ্বীন আলামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী’র ইন্তেকালের পর দেশবাসী শোকাহত।
সরাসরি জানাযায় অংশ নিতে না পারায় বগুড়ায় গায়েবানা জানাযার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারনে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এরপরও রাতের অন্ধকারে পুলিশ সারা জেলায় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের বাড়ীতে হানা দিয়ে পশ্চিম জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকারসহ ২০জন নিরপরাধ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
সেই সাথে নেতাকর্মীদের বাড়ীতে তলাশির নামে পরিবারের সদস্যদেরও হয়রানি করেছে। আমরা পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীর নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।”
এদিকে, বগুড়া জেলা পুলিশের মূখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।