নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ের দিনে সাকিবের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। অধিনায়ক শুরুটাও করেছিলেন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারলেন না। ১১তম ওভারের চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে খাটো লেন্থে করেছিলেন মাথিশা পাথিরানা। সেখানে অযথাই ব্যাট ছোঁয়াতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন সাকিব। উইকেটের পেছনে সামান্য বাম দিকে সরে এসে বল লুফে নিয়েছেন কুশল মেন্ডিস। সাকিব ফিরেছেন ১১ বলে ৫ রান করে। ৩৬ রান তুলতেই তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ।
উইকেট বিলিয়ে দিলেন নাঈম
ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে আসেন ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পেলেন এই অফ স্পিনার। চতুর্থ বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন নাঈম, তবে নিয়ন্ত্রণ ছিল না কোনোই। আউটসাইড-এজে ক্যাচ গেছে শর্ট থার্ডম্যানে। সহজ এই ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করেননি পাথুম নিশাঙ্কা। তাতে ২৩ বল খেলে ১৬ রানে ফিরেছেন দলে ফেরা নাঈম।
জীবন পেলেন শান্ত
তামিমের ডাক খেয়ে ফেরা কিছুটা হলেও চাপ বাড়িয়েছে। নাজমুল হোসেন শান্ত আর নাঈম শেখ মিলে সেই চাপ কাটিয়ে স্বস্তি ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন। দেখে-শুনে খেলতে থাকা শান্ত পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে রাজিতাকে ফুললেংথে পেয়ে টেনে মারতে গেলেন। কিন্তু টাইমিং ঠিকঠাক করতে না পারায় ক্যাচ উঠেছিল। অধিনায়ক দাসুন শানাকা সামনে ডাইভ দিয়ে ক্যাচের নাগাল পেয়েছিলেন ভালোভাবেই। তবে হাতে রাখতে পারেননি বল। তাতে ব্যাক্তিগত ২ রানে জীবন পেলেন শান্ত।
অভিষেকে ডাক খেলেন তামিম
তামিম ইকবাল না থাকায় সুযোগ পেয়েছিলেন স্কোয়াডে। এরপর লিটনের অনুপস্থিতিতে অভিষেকটাও হয়ে যায় তানজিদ তামিমের। কিন্তু শুরুটা হয়েছে বিষাদময়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন মহেশ থিকশানা। এই রহস্যময় স্পিনারের প্রথম বলটা ব্যাটে খেলতে পারেননি তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটা ছিল তার প্রথম বল। পরের বলটা মিডল স্টাম্পের ওপর ক্যারম করেছিলেন থিকশানা। তাতেই লাইন মিস করেছেন তামিম। বল তার পায়ে আঘাত হানলে আম্পায়ার আঙুল তুলতে খুব একটা সময় নেননি। ফলে ওয়ানডেতে ১৬তম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে অভিষেকে ‘ডাক’ মেরেছেন তামিম। ওপেনার হিসেবে যা চতুর্থ। তামিম ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে শূন্য রানে আউট হওয়া ওপেনাররা হলেন- নুরুল আবেদীন (১৯৮৬), হারুনুর রশিদ (১৯৮৮), রফিকুল খান (২০০২)।
তামিমের অভিষেক
লিটন দাস ভাইরাল জ্বরের কারণে ছিটকে যাওয়ায় শেষ মুহূর্তে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এনামুল হক বিজয়। তবে একাদশে সুযোগ মেলেনি তার। তাই অভিষেক হয়েছে তানজিদ হাসান তামিমের। তিন পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কা একাদশ-দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), পাথুম নিসাঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নে, কুশাল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দুনিথ ওয়েলালাগে, মহেশ থিকশানা, কাসুন রাজিথা ও মাথিশা পাতিরানা।
বাংলাদেশ একাদশ- সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।