এম আর অভি, বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনায় সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবিরসহ কয়েক জনে বিরুদ্ধে ভয়ভীতি ও মারধর করার অভিযোগে এনে (৮ সেপ্টেম্বর ) শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরগুনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে সোনিয়া আক্তার আঁখি নামের জনৈক ভুক্তভোগী এক নারী। সংবাদ সম্মেলনে ঐ ভূক্তভোগী নারী আঁখি বলেন ৬ নং বুড়ির চর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ও তার সহযোগী দলীয় লোক কামাল হাং আমাকে ও আমার স্বামীকে মারধর করে খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছে।
এ ঘটনায় আমি সোনিয়া আক্তার আঁখি গত ৩ সেপ্টেম্বর বরগুনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। যার নং ১০৭ ।
এরপরও আমাকে ও আমার পরিবারের কাছে বিভিন্ন লোকজন পাঠিয়ে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির। এ কারণে গত ৫ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ও বুড়িরচর গ্রামের ইসমাইল হাং এর ছেলে কামাল হাং কে আসামি করে বরগুনা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন বর্তমানে মামলার আসামিরা আমাকে মারধর খুন জখম ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমি কোন পথ খুঁজে না পেয়ে নিরুপায় হয়ে প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হলাম।
গণমাধ্যম ভাইদের কাছে আমি সঠিক বিচার দাবি করছি। যাতে আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারি। এটাই আপনাদের কাছে বিনয়ের সহিত দাবি করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বুড়িরচর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো.মায়নুদ্দী ময়না, ইউপি সদস্য ওয়াসিম, সাবেক ইউপি সদস্য ইসমাইল মৃধা প্রমূখ।
এ বিষয়ে বুড়িরচর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবিরকে কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ মিথ্যা।
তবে এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলা ও জিডি সূত্রে ,উল্লেখ্য ইউপি নির্বাচনের সময় ঐ ভূক্তভোগী নারী আঁখির জমিতে পরিত্যক্ত একটি ঘর নির্বাচনীয় ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়া হয় অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবিরকে। নির্বাচনের পর ঘরটি ফেরত দেওয়ার শর্তে ।
কিন্তু তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তাকে ফেরত না দিয়ে এখনো ঘরটি ভোগ দখল করে আসছে। ঘরটি তিনি ফেরত দেওয়ার মর্মে একটি চুক্তিনামায় ও ভূক্তভোগী নারী আঁখির স্বাক্ষর নিয়ে তার নিজের নামে করে নিয়েছে।
তারপরেও চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবিরের কাছে ঘরটি বারবার ফেরত চাইলে তিনি তাকে বিভিন্ন ভাবে তার লোকজন দিয়ে মারধর ও ভয় ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে আসছেন। চলতি বছরের গত ৩১ আগষ্ট সকাল অনুমান ০৮ ঘটিকার সময় আঁখির বসত বাড়ির সামনে বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাড. হুমায়ুন কবির (৫০), ও স্থানীয় প্রভাবশালী মো. কামাল হাওলাদার (৪৫), তাকে মারধর করে ও খুন জখমের হুমকি প্রদান করে এবং চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে ৮ টার দিকে পুরাকাটা ফেরীঘাট স্ট্যান্ডে পৌছলে তার সামনে এসে অযথা তর্কের সৃষ্টি করে তাকে গালমন্দ করতে থাকে।
সে প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যানের ড্রাইভার জাহাঙ্গীর তাকে মারপিট করতে লাঠি নিয়ে তেরে আসে। বরগুনা আসতে বাঁধা দেয় এবং কোন মামলাও করতে দিবে না।
সে যদি কোন মামলা করে তাহালে চেয়ারম্যান এর ড্রাইভার জাহাঙ্গীর আঁখিকে খুন করবে ও তার বাবাকে উলঙ্গ করে বাজারে বাজারে ঘুরাবে এবং আঁখির স্বামীকে মারপিট করে উল্টো তার নামে মামলা দিবে এমন হুমকি দেয়।
তার ঘর বাড়ি আগুন দিবে এবং তাকে ও তার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি প্রদান করে বুড়িরচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাড. হুমায়ুন কবির (৫০), ও স্থানীয় প্রভাবশালী মো. কামাল হাওলাদার (৪৫), এবং চেয়ারম্যানের ড্রাইভার জাহাঙ্গীর ।
এ ঘটনায় আঁখি গত ৩ সেপ্টেম্বর বরগুনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। যার নং ১০৭ এবং ৫ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ও বুড়িরচর গ্রামের ইসমাইল হাং এর ছেলে কামাল হাং কে আসামি করে বরগুনা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।