শামীম আহসান মল্লিক,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার কর্মকার পট্টির খাল অবৈধ ভাবে দখল করে পাকা বিল্ডিং নির্মান করার কাজ চলছে। আজ ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দিলেন।
ভুক্তভোগী শাহীন শেখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। নির্বাহী কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিত্বে দুপুরে এস এম তারেক সুলতান ঘটনা স্থালে পৌছে এ নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়ে।
সরকারি জায়গার অংশ টুকা অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, বিশারীঘাটা গ্রামের মোঃ মফিজ হাওলাদার এর ছেলে শাহিন হাওলাদার মোরেলগঞ্জ বাজারের একজন ব্যবসায়ী একজন ব্যবসায়ী কাছ থেকে তিন শতক জায়গা খরিদ করে। সেই জায়গায় পাশে সরকারি খাল দখল করে পাকা এমারত নির্মাণ কাজ শুরু করে।
স্থানীয় জনসাধার সরকারি জায়গায় পাকা নির্মাণ কাজ বাধা দিলে তাদের কথার কোন কর্নপাত না করে বিভিন্ন বিভন্ন জাযগা ম্যানেজ করে আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এই দখলের কারণে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ৪,৫,৬ও ৭ নং ওয়ার্ডের গ্রামের এক মাত্র ভরসা এই খালটি ফুঁষে উঠেছে সেখান কার জনগণ। এলাকার কয়েক শ একর জমিতে কৃষি কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে উঠেছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক জনসাধারন জানান,অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি খাল রক্ষা করে সহস্রাধিক পরিবারের এ খালটি জীবন যাপনের জন্য পানি সরবরাহ ও তাদের নিত্যদিনের কাজকর্মে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও বর্ষা মৌসুমে আটকে থাকা জলাবদ্ধ এবং বন্যা দুর্যোগ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অনেক সহায়তা করে।
তাই মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করায় স্থানীয় জনগণ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান জানান, সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ নির্মাণাধীন ভবন সম্পূর্ন ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভবিশ্যতে মোরেলগঞ্জ উপজেলায় সরকারি জায়গায় আর কোন অবৈধ কাজ করতে দেওয়া হবে না।