রবিউল ইসলাম,ঝিনাইদহ : স্কুলটিতে প্রায় দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষক-শিক্ষিকা ৬জনের মধ্যে ৫ জন মহিলা। প্রায় ৩ বছর সময় ধরে নেই শৌচাগার। শৌচাগার ব্যাবহারের প্রযোজন হলে বিদ্যালয়ের সকলে আশ-পাশের বাসাবাড়িতে যেতে হয়। এতে করে আশ-পাশের বাড়ির লোকজনেরাও বিরক্তবোধ করছেন। তালাবদ্ধ দ্বিতলা শৌচাগারটি দ্রæত কাজ স¤পন্ন করে খুলে দেওয়ার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার তাগিদ দিলেও তারা কর্ণপাত করছে না।
বাধ্য হয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ জয়নাল আবদীন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবর সমাধান চেয়ে একটি আবেদন করেন। এ অবস্থা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কমলাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সোমবার সকালে বিদ্যালয়টিতে সরেজমিনে গিয়ে দ্বিতল শৌচাগারের গেটে তালা ঝুলতে দেখা যায়।
ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি পড়–য়া ছাত্র সজীব ও চতুর্থ শ্রেণি পড়–য়া ছাত্রী জান্নাতুল জানান, শৌচাগার ব্যাবহারের প্রযোজন হলে আমরা বাড়ি চলে যায়।
স্কুলের সহকারি শিক্ষক মোছাম্মদ নুরুন্নাহার জানান, দীর্ঘদিন ধরে শৌচাগার ছাড়া নিদারুণ কষ্ট সহ্য করতে হয়। প্রতিদিন মানুষের বাড়িতে যাওয়াটা লজ্জার ব্যাপার। তাছাড়া আশ-পাশের বাড়ির লোকজনেরাও বিরক্তবোধ করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবদীন জানান, শৌচাগার ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান কি চলতে পারে? তবুও চলছে কয়েক বছর ধরে। বহুবার বলেও হচ্ছে না সমাধান। বাধ্য হয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছি।
মেসার্স এনামুল হক নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোহাম্মদ রানা জানান, শেষ পর্যায়ের কিছু কাজ এখনো বাকি থাকায় শৌচাগারটি চালু করা সম্ভব হয়নি। আশা করছি দ্রæত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেবো।
কালীগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জেসমিন আরা জানান, ঠিকাদারকে মৌখিকভাবে বলেছি কাজটি দ্রæত করার জন্য। কিন্তু তিনি বার বার সময় নিচ্ছেন। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লিখিতভাবে নোটিশ করা হয়নি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে একটি আবেদন পেয়েছি। এ ব্যাপারে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।