তোফায়েল আহমেদ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে পেটালেন একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়নুল আবেদীন তাঁর দুই ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের অবসর জনিত বিদায় অনুষ্ঠান। বিদায় অনুষ্ঠানের মানপত্র আনতে দেরি হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে শিক্ষক জয়নুল আবেদীন ও তাঁর দুই ছেলে মিলে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন ওকই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক (৪৬) কে।
রোববার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার তালম ইউনিয়নের জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চত্তরে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন তিনি জানান, চোখের সামনে যা ঘটেছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা একজন শিক্ষক কে প্রকাশ্যে পেটানোর সাথে জড়িত শিক্ষক জয়নুল আবেদীন ও তাঁর ছেলেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
আহত প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক জানান, তাঁরই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের অবসর জনিত বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য তিনি সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন। কিন্তু বিদায়ী শিক্ষককে দেবার জন্য মানপত্রটি প্রস্তুত না থাকায় তিনি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন কে নিয়ে উপজেলা সদরে আসেন। পরে সেখানে থেকে মানপত্রটি সংগ্রহ করে দুপুর ১২ টার দিকে বিদ্যালয়ে পৌঁছান।
এ সময় বিদায়ী সহকারী শিক্ষক জয়নুল আবেদীন মানপত্র আনতে কেন দেরি হলো এ কথা বলেই প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে গালাগাল দিয়ে মারপিট শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি সেখানে থাকা তাঁর দুই ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩৬), মনিরুজ্জামান (৩২) ও তাঁর এক ভাতিজা প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক কে পেটান ।
লোহার রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। প্রধান শিক্ষক রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তা দেখে উপস্থিত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবকরা কিংকর্তব্য বিমুঢ় হয়ে পড়েন। পাশাপাশি তাঁরা দৌড়াদৌড়ি ও কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক কে উদ্ধার করে প্রথমে তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তবে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।