নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় দুই যুগ পর মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করবেন তিনি।
এছাড়াও দেখবেন হাওর এলাকার উন্নয়ন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রায় শেষ পর্যায়ে মঞ্চ তৈরির কাজ।
পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে কিশোরগঞ্জ শহর। নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। সরকার প্রধানের আগমনকে কেন্দ্র করে এখন গোটা জেলায় উৎসবের আমেজ।
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হেলিপ্যাড মাঠে প্রস্তুত হচ্ছে মঞ্চ। মঙ্গলবার এখানেই জনসভায় উন্নয়ন-কর্মকাণ্ড তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধন করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ সেনানিবাস। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বলছেন, সেনানিবাস উদ্বোধনের পাশাপাশি হাওরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিজ চোখে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত হাওরবাসী। নেত্রীকে এক নজর দেখার জন্য অপেক্ষায় আছেন তারা। কারণ প্রধানমন্ত্রীর কারণেই এক সময়ে অবহেলিত হাওরে উন্নয়ন হয়েছে।
হাওরের মানুষেরা যারা জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন জায়গায় কাজকর্ম করেন ইতোমধ্যেই তারাও বাড়িতে আসতে শুরু করেছেন। ব্যাপক জনসমাগম ঘটবে এই সমাবেশে।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির ছেলে প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী হাওরে আসছেন এটাই আমাদের বড় পাওয়া।
সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধনের পর দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়িতে মেহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী।