মো.নজরুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
কনষ্টেবল পদে চাকরি দেয়ার নামে স্থানীয় দুই যুবকের কাছে থেকে আট লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেলকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রাসেল সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের ঈমার আলীর ছেলে ও বামনডাঙ্গা আব্দুল হক ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক।
স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাসেলকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি প্রদানের সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অব্যাহতি পত্রে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সংগঠনের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনিবার্হী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গঠনতন্ত্রে ৩৪ অনুচ্ছেদের “গ” উপ-ধারা মোতাবেক সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদকের নির্দেশক্রমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেলকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ২৭ ফেব্রæয়ারী গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা গ্রামের জাকারিয়া হোসেনের ছেলেকে চাকরি দেয়ার জন্য ৫ লাখ এবং কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের ময়নুল ইসলামের কাছ থেকে ৩ লাখসহ মোট আট লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রের মুলহোতা রাসেল ও তার চার সহযোগী।
পরীক্ষা দেওয়ার পর পরীক্ষার্থীরা জানতে পারে রাসেল তাদের সাথে প্রতারণা করেছে। প্রতারণার শিকার ওই দুই যুবকের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারকে জানান।
পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন প্রতারক চক্রের সদস্যদের আটকের জন্য গাইবান্ধা ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন।
ডিবি পুলিশের ওসি মোখলেছুর রহমান ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে ২৭ ফেব্রæয়ারী রাতে গাইবান্ধা থেকে প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও চক্রের মুল হোতা রাসেলকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের শফিকুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী, শাহ আলম ও সাজেদুল ইসলাম সাজু।
উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা গ্রামের জাকারিয়া হোসেন সুন্দরগঞ্জ থানায় এ নিয়ে মামলা করে।
গাইবান্ধা ডিবির ওসি মোখলেছুর রহমান জানান, রাসেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।