এম আর অভি,বরগুনা প্রতিনিধি :বরগুনা আল মিজান শপিং কমপ্লেক্স এন্ড মসজিদ মার্কেটের পপুলার মেডিকেল সার্ভিসেস এর মালিক মো. নুরুল আলম সদরঘাট জামে মসজিদ কমিটির ৫ জন সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে থানায় ও আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
গত শুক্রবার তিনি বরগুনা সদর ঘাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির চৌধুরী, সহ-সম্পাদক মো.আতাউর রহমান বাবুল, সহ-সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন পহলান, কোষাধাক্ষ আবুল হোসেন, সদস্য মো.কাইয়ুমসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং পরে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, নুর আলম বরগুনা শহরস্থ আল মিজান শপিং কমপ্লেক্স এন্ড সদরঘাট মসজিদ মার্কেটের নিচ তলায় তিনটি কক্ষ তার স্ত্রী ও দুই পুত্রর নামে মাসিক ১৪ হাজার টাকা ভাড়া চুক্তিতে ১০ লক্ষ টাকা অগ্রিম প্রদানে ভাড়া নিয়ে পপুলার মেডিকেল সার্ভিসেস নামে একটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে।
ঘর ভাড়া নেওয়ার সময় মসজিদ কমিটির সাথে চুক্তি হয়। ৫০ হাজার টাকা পহলা ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে সে পে- অর্ডারের মাধ্যমে আগাম প্রদান করেন।
রুমে ডেকরেশনে তার ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। সে বিগত ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখ বুধবার ১১টায় মসজিদ কমিটির অফিস কক্ষে যাইয়া কমিটির ৩ সদস্যের উপস্থিতিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির চৌধুরীর কাছে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করে এবং বাকী ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা আগামী ৩১ শে মার্চ ২০২৩ এর মধ্যে পরিশোধ করিবে।
আসামিরা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে তার নিকট সময় অসময় কর্জে হাসান-বাবদ ধারের নামে টাকা দাবি করে।
সে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হইয়া তার ক্ষতি করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
পরে ঘটনার দিন আসামিরা তার কাছে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।সে টাকা দিতে অস্বীকার করিলে গত (২৩ -মার্চ ) বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিরা অযথা তর্কে জড়ায় এবং বে-আইনিভাবে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ করে ।
ক্ষমতার দাপট দেখাইয়া মার্কেটের অন্যান্য ব্যবসায়ী উপস্থিতিতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মূল কেচি গেইট কাটিয়া তার ক্লিনিক এর মধ্যের কিছু মালামাল তছনছ আর কিছু মালামাল নিয়ে যায়। এতে তার আনুমানিক পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয় ।
সে ও তার কর্মচারীরা এবং পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা বাঁধা দিতে গেলে আসামিরা তাকে একাধিক ধাক্কা মারিয়া বসাইয়া রাখে। আসামিরা কেচি গেইট কাঁটার কারণে তার ক্লিনিক অরক্ষিত হয়ে পড়ে।
সে সকাল বেলা এসে দেখে ক্লিনিকের আল্টাসনো মেশিন ,সেল কাউন্টার (সিবিসি) মেশিন, ইলোকট্রোলাইজ মেশিন ক্লিনিকে নাই। এতে তাঁর মোট বিশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
পপুলার মেডিকেল সার্ভিসেস ক্লিনিকের মালিক নূরুল আলম প্রতিবেদককে জানান, আমি মূলত মার্কেটে বিদ্যুৎ বিল বেশি করে এবং মসজিদের ইমাম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় মসজিদ কমিটির কতিপয় সদস্য আমার ক্ষতি করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
আমার ক্লিনিকের কেচি গেইট কাঁটার ঘটনায় আমি থানা ও আদালতে মামলা দিয়েছি । তিনি আরো বলেন, আমি এর পূর্বে মামলা করে মসজিদের জমি রক্ষা করেছি।
বরগুনা সদর ঘাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.আলমগীর কবির চৌধুরী ,মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন
আদালতে একটি মামলা হয়েছে জানি, এছাড়া থানায় জিডি করার জন্য গেছিল।
ক্যাচি গেইট অপসারণ এর বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তবে মালামালের খোয়া যাওয়ার বিষয় কিছু জানেনা বলে জানান।