মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ ,বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলা রেল ষ্টেশনের জায়গা দখল করে মাটি ভড়াটের কারনে, উপজেলা পরিষদ ও শহরের একমাত্র পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে ক্ষমতাশীলরা। এঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনকে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়রা জানায় দখলদারেরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ বিষয়ে কেউ কথা বলতে পাড়ছেনা।
রেল ষ্টেশন থেকে হাসপাতাল রোড অর্থাৎ হাসপাতালে পূর্ব পাশেই রেলের সম্পত্তিতে দুটি পুকুর ছিল। বিভিন্ন সময় পুকুর দুটি রেল কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতো ব্যবাসায়ীরা। তবে বর্তমানে এখানে পুকুর বুঝবার আর কোন উপায় নেই। অভিযোগ রয়েছে সোনাতলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিষ্ঠার ও সোনাতলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবদল নেতা মোস্তাক আহমেদ লিটনের বিরুদ্ধে। তবে ষিয়টি অস্বিকার করেছে মিজানুর রহমান মিষ্টার মুটোফোনে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেল ঐ স্থানে আমার কোন জায়গা নেই এবং আমি মাটিও ফেলছিনা। মোস্তাক আহমেদ লিটনের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে পৌছে দেখা যায় উপজেলা পরিষদ সন্নিকটে শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়াম এর পাশ দিয়ে পানি নিস্কাশনের একমাত্র ড্রেনটির গতিমূখ ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এতে করে বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে ডুবুডুবু অবস্থায় থাকবে উপজেলা চত্তরসহ এই এলাকা ও শহরের বৃহদাংশ। স্থানীয়দের দাবি অতি দ্রুত দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বর্ষা মৌসুমে চরম সমস্যায় পরবে এই এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় সোনাতলা রেল ষ্টেশনের সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার শ্রী বাসুদেব বলেন মাটি ভড়াটের বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন সোনাতলা রেল ষ্টেশনের অদুরে, মাটি ভড়াটের বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা পারভিন বলেন আমরা রেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছি।
সোনতলা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু বলেন অবৈধভাবে মাটি ভড়াটের কারনে আমাদের পৌরসভার বেশিরভাগ জায়গার পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে।
তাই আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই সেইসাথে উপজেলা প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাই যে, অতি দ্রুত দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।