নিজস্ব প্রতিবেদক: শুরুর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারলো না বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারানোর পরও আফগানিস্তান পেল ভালো সংগ্রহ। শেষ চার ওভারেই তারা তুললো ৫৩ রান। ফলে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তুলে নেয় সফরকারীরা। জয় পেতে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৫৫ রান।
শুক্রবার বিকেল ৬টায় সিলেট স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া প্রথম টি-২০ ম্যাচের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই নাসুম আহমেদকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন জাজাই। তবে পরের বলেই তার প্রায়শ্চিত্ত করেন নাসুম, জাজাইকে দেখান সাজঘরের পথ। ১০ বলে ৮ রান করে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১৬ রানে ভাঙে আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি।
পরের ওভারেই আরেক ওপেনার গুরবাজকে ফেরান তাসকিন। এবারো যেন প্রতিশোধের গল্প।তাসকিনকে জোড়া চার মেরে মোমেন্টাম ধরে রাখতে চেয়েছিলেন গুরবাজ। তবে তা আর হলো কই! ১১ বলে ১৬ রান করেন গুরবাজ। ৪ ওভারে ২৬ রানে ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
পরের ওভারেই আরো একটা উইকেট হারায় সফরকারীরা, এবার ফেরেন ইবরাহীম জাদরান। এবার শরিফুলকে ছক্কা মেরে পরের বলেই ফিরেছেন তিনি। লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৬ বলে ৮ রান করে। এরপর করিম জানাত আর নাবি মিলে চেষ্টা করেন ইনিংস মেরামতের। তবে এবার বাধা হয়ে দাঁড়ান সাকিব আল হাসান।
প্রথম ওভার করতে এসে করিম জানাতকে ফেরান সাকিব। ৯ বলে ৩ করে শান্তকে ক্যাচ দেন তিনি৷ তাতে নাবির সাথে ভাঙে তার ১৮ বলে ২০ রানের জুটি। ৫২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও চলতে থাকে নাবির ব্যাট। এবার তাকে সঙ্গ দেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ৩৮ বল থেকে যোগ করেন ৩৫ রান।
১৪তম ওভারে জুটি ভেঙে ফেরেন নাজিবুল্লাহ। ২৩ বলে ২৩ করা এই ব্যাটারকে ফেরান মেহেদী মিরাজ। তবে নাবি তখনো খেলছিলেন নিজের মতো করে। এবার সঙ্গী হিসেবে পান ওমরজাইকে। ১৬তম ওভারে দলীয় শতক পূরন করে আফগানিস্তান।
শতক পূরনের পর আফগানরা খেলতে থাকে হাত খুলে, রান তুলতে থাকে দ্রুত গতিতে। জমে উঠে দুজনের জুটি। ১৭ ও ১৮তম ওভারে তাসকিন ও মোস্তাফিজ উভয়েই দেন সমান ১৪ করে রান। সাকিব আল হাসান ১৯তম ওভারের শেষ বলে এই জুটি ভাঙলেন বটে, তবে তিনিও রান দিলেন ১৪।
ওমরজাই ফেরেন ৪ ছক্কায় ১৮ বলে ৩৩ রান করে৷ নাবির সাথে ভাঙে তার ৩২ বলে ৫৬ রানের জুটি। শেষ ওভারে এসে অর্ধশতক তুলে নেন নাবি, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪০ বলে ৫৪ রানে। শেষ ওভারে রাশিদ খান ফেরেন ২ বলে ৩ করে।
২৬ রানে ২ উইকেট নেন সাকিব। নাসুম, তাসকিন, শরিফুল, মোস্তাফিজ ও মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।