এম আর অভি, বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনা জেলার সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব গুদিঘাটা গ্রামে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে শ্যালিকাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে আপন দুলাভাই। এ সময় তার এলোপাথারি কোপে কিশোর হাফিজুর(১৩) এবং শিশু তাইফা(৩) খুন হন। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ সময় জেলার সদর উপজেলার পূর্ব গুদিঘাটা গ্রামের মৃত্যু আব্দুল খালেক এর বাড়ি। পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত ইলিয়াছ (৩২) কে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল ) আব্দুল হালিম বলেন , ১৩ বছরের একটি শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা আমাদের জানালে তাৎক্ষণিক ভাবে আমার একটি টিম নিয়ে ঘটনা স্থলে যাই। সেখানে গিয়ে রিগান (২৮) ও শিশু কাইফা ২জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাই। তাদের উদ্ধার করে বরগুনা হাসপাতালে পাঠাই। তিনি আরো বলেন, তাদের দুজনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় বরিশালে রেফার করা হয়। পরে শুনতে পাই শিশু কাইফারও মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ইলিয়াস কে আমরা আটক করেছি। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
জানাগেছে,পূর্ব গুদিঘাটা গ্রামের মৃত্যু আব্দুল খালেকের মেয়ে রিগানের সাথে তার স্বামী কবিরের পারিবারিক বিরোধ চলছে। এ সুযোগে তার আপন দুলাভাই বরগুনা খাজুরতলা আবাসনের বাসিন্দা ইলিয়াছ তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রিগান তার কু প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় গত ৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাতে ইলিয়াছ তার ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় রিগান খবিরের ছেলে হাফিজুর এবং নিজ কন্যা কাইফাকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিল। দরজায় লোক জনের উপস্থিতি টের পেয়ে সে দাও নিয়ে বাঁধা দেয় এবং চিৎকার শুরু করে। রিগানের হাত থেকে দাও কেড়ে নিয়ে ইলিয়াছ এলোপাথারী তাকে কোপাতে থাকে।
তার কোপের আঘাতে ঘটনা স্থলেই হাফিজুর নিহত হয়। রিগান ও তার কন্যা কাইফা গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে আহতদেরকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। দু’জনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরগুনা থেকে বরিশাল শের ই বাংলা হাসপাতালে নেয়ার পথে শিশু কাইফাও মারা যায়। আহত রিগান বরিশালে চিকিৎসাধীন আছে। পুলিশ নিহতদের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য নিহত কিশোর হাফিজুরকে রিগান তার নিরাপত্তার জন্য প্রতিবেশী স্বপনের বাড়ি থেকে এনেছিল। হাফিজুর সম্পর্কে স্বপনের ভাগিনা। আয়লা সোনার বাংলা গ্রামের খবিরের ছেলে হাফিজুর। অপরদিকে আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের আবুল হোসেন ছেলে ঘাতক ইলিয়াছ। সে পেশায় একজন দিনমজুর।
ঘাতক ইলিয়াছ সকালে তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং রাতের ঘটনার না জানার অভিনয় করে। ঘটনার খোজঁ খবর নেয়। মূলত আহত রিগান পুলিশকে জানায়, তার ভগ্নিপতি ইলিয়াছ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তৎখনাত পুলিশ তাকে আটক করে।