শামীম আহসান মল্লিক,বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃএই সেই শিক্ষা অফিসার যে, সরকারের খাবে সরকারের পড়বে, আবার সরকারি কাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবে। গত ৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল এর ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে নানা কর্মসূচী পালন করেছে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন।
দিবসটি পালনে স্হানীয় সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধ, রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মী, সকল দপ্তরের কর্মচারীবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রেহন করেন।
কিন্তু মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত (চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত) সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তাকে কোন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। সকল প্রোগ্রামে তিনি ছিল অনুপস্থিত। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রোগ্রামে থাকা তো দূরের কথা ঐদিন তিনি উপজেলাতে ছিলেন না।
উপজেলা ৩০৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষিকা সকলেই একযোগে কম বেশি বিভিন্ন অনুষ্ঠান করলেও শিক্ষা অফিসারের সরকারি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করে অনুপস্থিত থাকা এটা তার কাম্য নয় বলে জানান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, একাধীক শিক্ষক ও শিক্ষকনেতৃবৃন্দ।
তবে উক্ত দপ্তরের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রিপন চন্দ্র মন্ডল কে অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেখা গেছে।
গত ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল খেলায় ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন অনিয়ম, অনিহা প্রকাশ পেয়েছে তার কাজের মাধ্যমে।
এ নিয়ে একাধিক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে নরে চরে বসেন তিনি। মাত্র কয়েক দিন যেত না যেতেই আবার সরকারি কাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন উক্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। এ যেন দেখার কেউ নেই।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে অনুপস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ভোট কেন্দ্রর তালিকা করার কাজে ব্যস্ত ছিলাম আমার সহকারী রিপন মন্ডল উপস্থিত ছিলো।