মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ ,বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের অফিস সহকারী আব্দুর রহিমের হাতে আল জুবায়ের আসিব নামের এক সহকারী প্রকৌশলী লাঞ্চিত হয়েছেন।
সরকারী অফিস কক্ষে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে অফিস পাড়ায় শুরু হয়েছে তোলপাড়। আল জুবায়ের আসিব জানান, তিনি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত। তিনি ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের গোয়ালভাগ গ্রামে আসেন।
তার নিকট আত্মীয়র একটি সেচ পাম্পের লাইসেন্স এর জন্য রবিবার সকাল ১০ টার দিকে তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে ধুনট ইউএনও অফিসে যান। ইউএনও অফিসের অফিস সহকারী আব্দুর রহিমের কাছে সেচ পাম্পের লাইসেন্স বিষয়ে জানাতে চাইলে আব্দুর রহিম তার উপর চড়াও হয়। ঘটনার প্রতিবাদ করায় অফিস সহকারী আব্দুর রহিম, সহকারী প্রকৌশলী আল জুবায়ের আসিবকে ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় মুহুর্তের মধ্যে লোকজন জড়ো হয়ে তোলপাড়া শুরু করে।
লাঞ্চিত হওয়া কর্মকর্তা ইউএনও জানে আলমের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা যায়। এর আগেও অফিস সহকারী আব্দুর রহিম, রোকেয়া নামের এক পরিচ্ছন্ন কর্মীকে মারধর করে ছিলেন।
নির্যাতনের স্বীকার রোকেয়া খাতুন বলেন, অফিস সহকারী আব্দুর রহিম আমাকে বিনা কারনে মারধর করেছিলেন। আমি বদলী হয়ে যাওয়া ইউএনও সঞ্জয় কুমার স্যারে কাছে বিচার দিয়ে বিচার পাইনি। উল্টো রহিম আমার চাকুরীচ্যুত করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছেন। ছাতিয়ানী গ্রামের শাহজাহান আলী বলেন, মতোয়াল্লীর জমি জমা নিয়ে ইউএনও অফিসে তদন্তধীন বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে তিনিও আব্দুর রহিমের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন।
অফিস সহকারী আব্দুর রহিম বলেন, ওই প্রকৌশলীর সাথে কথা কাটাকাটির হয়েছে। তবে তাকে লাঞ্চিত করা হয়েছে এমন দাবি সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এবিষয়ে ইউএনও জানে আলম বলেন, আমি ডিসি অফিসে মিটিংএ বগুড়ায় অবস্থান করছি ।
বিষয়টি শুনেছি। সোমবার প্রকৌশলী আল জুবায়ের আসিবকে অফিসে আসতে বলেছি।