নিজস্ব প্রতিবেদক: থাকবে না ট্রানজিট বিড়ম্বনা। কমবে যাওয়া-আসার সময়ও। ১ লা সেপ্টেম্বর বিমানের ঢাকা-টোকিও ফ্লাইট চালু হলে মাত্র ৬ ঘণ্টায় জাপান যেতে পারবেন যাত্রীরা।
সোমবার সকালে বলাকা ভবনে জাপানিজ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন ও দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানায় বিমান কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির মতে, জাপান-বাংলাদেশের ব্যবসার পরিধি বাড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতও সহজ হবে।
ঢাকা থেকে জাপানে সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় এতোদিন যাত্রীদের দুবাই, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া কিংবা কাতারে ট্রানজিট নিতে হতো। এতে নানা রকম বিড়ম্বনার পাশাপাশি ব্যয় হতো অতিরিক্ত ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর এই রুটে যাতায়াত সহজ হচ্ছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে মাত্র ৬ ঘণ্টায় জাপান যেতে পারবেন যাত্রীরা। এতে বাংলাদেশে বসবাসকারী জাপানিজদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে।
এক যাত্রী জানান, দীর্ঘদিন পর হলেও ফ্লাইট চালু হওয়ায় আমরা খুশি। আশা করছি এই রুটে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মাধ্যমে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। জাপানের সঙ্গে ফ্লাইট চালু হলে আশা করছি সাশ্রয়ী মূল্যেই যাতায়াত করতে পারবো। এছাড়া দু’দেশের ব্যবসার ক্ষেত্রও সহজ হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম জানান, টোকিও ফ্লাইট ব্যবসা সফল করতে নেপাল, ভুটান ও ভারতের যাত্রীদেরও এর আওতায় আনা হচ্ছে। এছাড়া ইউরোপ, আমেরিকার যাত্রীদেরও কোড শেয়ারিং এর মাধ্যমে কীভাবে পরিবহন করা যায় তাও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এছাড়া এ বছরের শেষ নাগাদ ঢাকা দিল্লি ও আগামী বছর নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালু হবে বলে জানান বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।