রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ :সড়কের পাশে গাছের শুকনা ডাল ঝুকে আছে রাস্তার উপর। গাছের এসব ডালপালা মরে শুকিয়ে গেছে। যে কোন সময় ভেঙে পড়বে রাস্তার উপর। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন, পথচারী ও শিক্ষার্থীরা।
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ পৌরসভার সরকারি ভূষণ স্কুল সড়কের পাশে প্রায় ৫ শত বছরের পুরাতন গাছের ডালপালা শুকিয়ে গেছে। পাতা ঝরে গেছে শুকিয়ে ছালও নেই। শুকনো ডালগুলো ঝুকে আছে রাস্তার উপর। ভেঙে পড়লেই ঘটবে চরম দুর্ঘটনা ।
কালীগঞ্জ ডাকবাংলা সড়ক থেকে বৈশাখী তৈল প্যাম্প পর্যন্ত সড়কের পাশের গাছের ডালগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। মরে যাওয়া এসব গাছের ডালে কোনোটিতে ঘুণে ধরেছে।
আবার কোনোটিতে কাঠপোকা বাসা বেঁধেছে। সড়কের পাশে ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলোর ডাল ব্যাক্তি উদ্যোগে কাটার নিয়ম নেই। সরকারিভাবে গাছগুলোর ডাল কাটা বা অপসারণ করার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো উদ্যোগ ও নেই।
ব্যস্ততম এই সড়কে চলাচল করে সরকারী ভুষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যলয়ে,শিশু একাডেমি,মহিলা ডিগ্রী কলেজ,ভুষক প্রাথমিক বিদ্যালয়,সলিমুলন নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা সহ ব্যাবসায়ী ও সাধারণ পথচারীরা।
এখানে বসে হলুদ হাটা,সরিষা হাটা। এ রাস্তা দিয়ে মটরসাইকেল রিক্সা ভ্যান ইজিবাইক সহ ছোটবড় যানবাহন চলে নিয়মিত। ফলে কোন সময় ডাল ভেঙে পড়লে ঘটে যাবে বিশাল দুর্ঘটনা।
সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের পাশ দিয়ে রাস্তা। এ রাস্তার ধার দিয়ে সাড়ে চারশত বছর আগের কড়ই গাছ সারি সারি দিয়ে দাড়িয়ে আছে গাছগুলো। গাছগুলোর কিছু মরা ডাল রাস্তার উপর ঝুকে থাকায় শিক্ষার্থী অভিভাবক সহ সকলে আতংকিত।
ভূষণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা হোসেন জানান আমাদের স্কুলের শিশু বাচ্চারা এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়া আশা করে কিন্তু রাস্তার পাশে যে বড় বড় গাছ আছে তার অনেক ডাল শুকিয়ে গেছে বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে আছি।এই ডাল গুলো কাটা অতি জরুরী।
ভূষিমাল ব্যবসায়ি দিলীপ সাহা জানান আমরা দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করতেছি। খুলনা বিভাগের সব থেকে বড় ভূষিমাল ব্যবসা এই রাস্তার পাশে।দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের কালীগঞ্জে আসে ব্যবসায়ীরা।
ঝুকিপুর্ণ এ ডাল গুলো কেটে দিলে আমরা নিশ্চিন্ত ভাবে ব্যবসা করতে পারি।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান কালীগঞ্জ সরকারি ভূষণ স্কুল সড়কের পাশে গাছ আছে তার মধ্যে কিছু গাছের ডাল মরে গেছে শুনেছি,আমরা পরিদর্শন করে দেখবো।
জনসাধারণের কোন ক্ষতি না হোক তার জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।