নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করুন। ক্ষমতার নেশা ত্যাগ করুন। কারণ ক্ষমতালোভী মানুষ কখনো জাতির কল্যাণ করতে পারে না।’
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকালে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াত আয়োজিত সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম এবং সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন যেন ভালো কাজের আদেশ ও খারাপ কাজের নিষেধের মাধ্যমে আমরা জান্নাতে যাওয়ার সফলতা অর্জন করতে পারি।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ও সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে আপনার নিজের জন্য যেমন কল্যাণকর হবে, তেমনি তা দেশ ও জাতির জন্যও কল্যাণকর হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকার গত ১৫ বছর ধরে জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাচ্ছে। আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতাসহ জামায়াতে ইসলামীর হাজার হাজার নেতাকর্মী এবং দেশের বরেণ্য আলেমদেরকে কারাগারে আটক রেখে মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য করছে। আমি জামায়াতের নেতাকর্মী, আলেম-ওলামা ও সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, ‘জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কল্যাণমূলক কাজকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। দেশে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন দিনে দিনে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার এই আন্দোলনে শামিল হয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য আমি দেশবাসী সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিশেষ অতিথি মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল বলেন, ‘বাতিল শক্তি যতই জুলুম-নির্যাতন করুক না কেন আল্লাহ তার নূরকে প্রজ্জ্বলিত রাখবেনই। যারা আল্লাহর তরে নিজেকে সপে দেয়, তিনি তাদেরকে হেদায়াত দান করেন। ঈমানদার ব্যক্তি শত দমন-পীড়নেও পিছ পা হয় না।’
বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রাসূল সা:-কে পাঠিয়েছেন সকল জীবনব্যবস্থার ওপর ইসলামী জীবন ব্যবস্থাকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। সুতরাং যারা আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় জীবনকে উৎসর্গ করে, তাদের জন্য আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় অনস্বীকার্য।’
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির আবদুল গফুর ও জেলা নেতারা। সমাপনি বক্তব্যে জেলা আমির মেহমানসহ অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি