মো.নজরুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় এক ভূমিহীন পরিবারের চায়ের দোকানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নুরুন্নবী মিয়া ও তার স্ত্রী রুজিনা বেগমকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে তাদের বিরদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বড় জামালপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে নুরুন্নবী মিয়া ভূমিহীন হওয়ায় এনায়েতপুর গ্রাম সংলগ্ন একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাস করে আসছেন।
জীবিকার তাগিদে এনায়েত বাজারে তিনি একটি চা-পানের দোকান দিয়ে ব্যবসা করছেন। এরই মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ২ সেপ্টেম্বর রাত প্রায় ৮ টার দিকে এনায়েতপুর গ্রামের মৃত দুদু মিয়া ওরফে হবিয়ার ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম তাদের দলবল নিয়ে নুরুন্নবীর দোকানে হামলা করে। এসময় তাদের হাতে থাকা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে রুজিনা বেগমকে পিটিয়ে ও শ^াসরোধে হত্যার চেষ্টা করে।
এতে নুরুন্নবী মিয়া তার স্ত্রীকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও বেধরক পিটুনি দেওয়া হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে আহত রুজিনা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও নুরুন্নবী মিয়া পরিবার নিয়ে বসবাস করা সরকারি ঘরের যাতায়াতের রাস্তাও বন্ধ করে দেয় প্রতিপক্ষরা।
এ ঘটনায় নুরুন্নবী মিয়া বাদী হয়ে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদী জাহিদুল ইসলামকে হাজির হওয়ার জন্য একাধিকবার অবগত করা হলেও পরিষদের আদালতে উপস্থিত হয়নি তিনি।
যার ফলে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক নুরুন্নবীকে বিচার যোগ্য পরামর্শে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার জন্য একটি প্রত্যায়নপত্র প্রদান করেছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগি নুরুন্নবী মিয়া বলেন, ওই হামলাকারীরা আমার দোকানে আকস্মিকভাবে প্রবেশ করে আমাদের হত্যার চেষ্টা করাসহ নগদ টাকা, গলার স্বর্ণের চেইন, ও অন্যান্য মালামাল লুটপাট করে।
এ ব্যাপারে সাদুল্লাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও সেটি আজও আমলে নেয়া হয়নি। এ বিষয় জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ (কাওছার মন্ডল) বলেন, নুরুন্নবী মিয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীকে হাজিরা দেওয়ার জন্য ডাকা হলেও উপস্থিত হয়নি।
যার কারণে নুরুন্নবীকে আইনি পরামর্শমূলক প্রত্যায়নপত্র দেওয়া হয়েছে।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এব্যাপারে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।