নিজস্ব প্রতিবেদক:কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান একই আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আপিল করার সময় চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আপিলও করেন তিনি।
ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে হেফাজতে ইসলাম
জনপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ১৪ (৫)-এর অধীনে এই আপিল করেন তিনি।
নাসিরুল ইসলামের আইনজীবী মো. জিশান মাহমুদ বলেন, মুজিবুল হক ঋণ খেলাপির তথ্য গোপন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার হলফনামা জমা দিয়েছেন। তার মনোনয়নপত্র কোনোভাবেই বৈধ হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে আমরা ইসিতে আপিল করেছি।
কমিশনের আপিলে নাসিরুল অভিযোগ করেন, মুজিবুল হক ঋণখেলাপি হয়েও তথ্য গোপন করে কিশোরগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়নের বৈধতা পেয়ে যান। মানিকগঞ্জের আলবাটর ফ্যাশন লিমিটেডের নামে রূপালী ব্যাংক পুরানা পল্টন করপোরেট শাখা থেকে মুজিবুল হক ব্যক্তিগত গ্যারান্টার হয়ে ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ তুলে দেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই ঋণটি খেলাপি হয়ে আছে। বিষয়টি তিনি তার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখ করেননি। তিনি তথ্য গোপন করেছেন। তার মনোনয়ন আইন মোতাবেক বাতিলযোগ্য। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট গোপন করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন মুজিবুল হক।
বৈধ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আপিল হলে কমিশন তা বিবেচনায় নেবে কি না- এ প্রসঙ্গে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, অবশ্যই, আইনে আছে, এবার আরপিও সংশোধন হয়েছে। আগে ছিল রিটার্নিং অফিসারের রিজেকশনের বিরুদ্ধে আপিল। আরপিওতে আছে, শুধু রিটার্নিং অফিসারের রিজেকশন না, রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। যেহেতু আইনে আছে, কমিশন যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে।