নিজস্ব প্রতিবেদন: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাকে কক্সবাজারগামী বেঙ্গল পরিবহনের বাস (ঢাকা-মেট্রো ব-১২-২৫৫৫) থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি ছিল টাইম বোমা। বাসের এক যাত্রী ব্যাগের ভেতরে বোমটি রেখে উধাও হয়ে যায়।
উদ্ধারের পর পুলিশের বোম ডিসপোজাল টিম শুক্রবার রাত ১টার দিকে সেটি নিষ্ক্রিয় করে।
এর আগে রাত সোয়া ১০টার দিকে বাসের ভেতর বোমা সাদৃশ্য বস্তটির সন্ধান পাওয়ার পর পুরো বাসে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাসটির চালক রুবেল জরুরিভিত্তিতে বাসটি মৌচাক বাসস্ট্যান্ডের কাছে পাকিং করে বাসে থাকা সকল যাত্রীদের নামিয়ে দেন। পরে পুলিশের বিশেষ পরিসেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থালে পৌঁছে বাসটি ঘিরে রাখে এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়।
পরে রাত সোয়া ১২টার দিকে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজমের বোম ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমা সাদৃশ্য বস্তটি উদ্ধার করে নিশ্চিত করে এটি একটি টাইম বোমা, শক্তিশালী ডিভাইস। উদ্ধারের পর রাত ১টার দিকে ডিভাইসটি নিষ্ক্রিয় করে।
বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়া বাসটির সুপারভাইজার মো: হাসান জানান, ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে একজন যাত্রী তাদের বাসে উঠেন। পরবর্তীতে গাড়ি ছেড়ে সায়দাবাদ এসে থামিয়ে যাত্রী উঠানোর পর তারা হানিফ ফ্লাইওভার পর্যন্ত এসে পুনরায় গাড়ির যাত্রী গননা করতে গিয়ে দেখতে পান পেছনের ওই ডি-১ নাম্বারের সিটে যাত্রী নেই। এরপর ওই যাত্রীর ফোনে কল দিলেও তিনি কলটি রিসিভ করেনি। একপর্যায়ে ওই যাত্রীর রেখে যাওয়া একটি ব্যাগ সুপারভাইজার সামনে নিয়ে আসতে গিয়ে দেখতেন পান বোমা সদৃশ্য বস্তু রাখা। পরে সে ৯৯৯ এ কল দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল পিপিএম (বার) বোম ডিসপোজাল ইউনিটের বরাত দিয়ে জানান, এ টাইম বোমাটিতে টাইমার সেট করা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে সক্রিয় হয়ে এটি বিষ্ফোরিত হতো। এতে পুরো বাসটিতে আগুন ধরে বাসে থাকা সবাই অগ্নিদগ্ধ হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো।
তিনি জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।