মো.নজরুল ইসলাম ,গাইবান্ধা প্রতিনিধি: কনকনে ঠান্ডা এবং শৈত্যপ্রবাহের কারণে গাইবান্ধার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অসহায় দরিদ্র দু:স্থ মানুষেরা শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে দিনমজুররা কাজে যেতে পারছে না।
গত এক সপ্তাহ যাবৎ দিনভর কুয়াশা থাকলেও বুধবার দিনে কুয়াশা ছিল না। তবে দুপুরের পর অল্প সময়ের জন্য সূর্য্যরে মুখ দেখা গেলেও তাপমাত্রা কমছিল। এই শীতে শিশু ও বয়স্কদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বেশী। তবে প্রচন্ড শীতের কারণে শিশুরা নিউমোনিয়া ও কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে শিশু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে জানা গেছে।
অপরদিকে অন্যান্য বছর যেভাবে দরিদ্র অসহায় মানুষদের শীতবস্ত্র দিয়ে সহায়তা দিতে বিভিন্ন এনজিও, সংগঠন এবং সরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র এবং খাদ্য সহায়তা দেয়া হতো এবারে সেরকম কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
ফলে নিরন্ন দিন কাটাচ্ছে অনেকে। বিশেষ করে চর এলাকায় এই অবস্থা চলছে বেশী। সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান জানান, এ পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু কম্বল পাওয়া গেছে। তা দরিদ্রদের মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
কয়েক হাজার দরিদ্র মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, সামান্য বরাদ্দকৃত কম্বলে ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, তার এলাকায় নদী ভাঙ্গা মানুষের সংখ্যা বেশি। তারা চরম দুদর্শার মধ্যে দিন কাটায়।
তার উপর এবারের শীত তাদের আরও কাহিল করে ফেলেছে। সদর উপজেলার কুন্দেরপাড়া চরের বাসিন্দা দরিদ্র ময়নাল হক জানান, শুনছি সরকার কম্বল দিচে। কিন্তু হামার ভাগ্যে সে কম্বল জোটে নাই। বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে, চরাঞ্চলের সার্বিক অবস্থা খুবই ভয়াবহ।
কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এবং কোনরূপ খাদ্য সহায়তা না পাওয়ায় তাদের এখন দুর্দশা চরমে পৌছেছে। অপরদিকে গাইবান্ধার মূলভুমির অবস্থাও শীতের কারণে জুবুথুবু অবস্থা। তবে নি¤œ বিত্ত মানুষরা কম দামে গাউন মার্কেটের পুরনো কাপড় কেনার জন্য ভীড় করছে।