নিজস্ব প্রতিবেদন: চলমান মৃদু শৈত্য প্রবাহে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী সোমবার (২২ জানুয়ারি) জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের ১ হাজার ৩৭৪টি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, চলমান শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দেরিতে আসায় আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে বেশি সময় লাগছে। রোববার তাপমাত্রা নামে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
তবে দেরিতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি।
যেহেতু শীতের তীব্রতা বাড়ছে তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় সোমবার জেলার সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৪টি স্কুলের সবকটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাপমাত্রা না বাড়লে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, সোমবারও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকবে। তাই জেলার সব সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে নতুন নির্দেশনা দেয়া হবে।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মাহবুব আলম জানান, জেলায় এক সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
এদিকে পাবনায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসায় সোমবার একদিনের জন্য পাবনা জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে রংপুর বিভাগের তিনটি জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। জেলাগুলো হলো কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর।
উল্লেখ্য, চলমান শৈত্যপ্রবাহে যেসব জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকবে, সেসব জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত আলাদা অফিস আদেশ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।