নিজস্ব প্রতিবেদন: মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাতে বাংলাদেশ জড়াতে চায় না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সংঘর্ষের আঁচ এসে পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তেও। তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে রোববার দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকার বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন তারা।
মিয়ানমারের ১৪ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশেমিয়ানমারের ১৪ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে। আরাকান আর্মি একের পর এক মিয়ানমার পুলিশের ঘাঁটি দখল করে নিচ্ছে। আত্মরক্ষার্থে ১৪ জন মিয়ানমার পুলিশের সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। অস্ত্র নিয়ে তাদের আটক রাখা হয়েছে ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ফিরিয়ে দেবার চেষ্টা চলছে।’
সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না, তবে আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেওয়া হবে না। মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি সদস্য বাড়ানো হয়েছে। অস্থির পরিবেশ চলছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে বিভিন্ন কারনেই দেরী হচ্ছে, তবে সরকার সব রকমের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের আক্রমণে চাপের মুখে জান্তা সরকার মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের আক্রমণে চাপের মুখে জান্তা সরকার
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির দলকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা নেয় সামরিক বাহিনী। এরপর দেশটিতে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে হয়েছে গণবিক্ষোভ । আর সম্প্রতি সামরিক বাহিনীকে হটিয়ে দেশটির বেশ কয়েকটি এলাকার দখল নিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। এছাড়া লড়াইয়ের মধ্যেই দেশটির সেনাবাহিনী ছেড়েছেন কয়েক হাজার সেনা। এতে অনেকটা বেকায়দায় আছে জান্তা সরকার।
জাতিসংঘের হিসাব বলছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে লড়াই-সংঘাতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।