নিজস্ব প্রতিবেদন: বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করার প্রায় ২৪ ঘণ্টা হয়ে গেছে তখন। জাতীয় দলের এমন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তখনও অধিনায়ককে অভিনন্দন জানাননি বা কোনো কথাই হয়নি, যথেষ্টই বিস্ময়কর বলা যায়।
যদিও এখন বিপিএল চলছে, জাতীয় দলের নেতৃত্বের ব্যাপারটি তবু যথেষ্টই প্রাসঙ্গিক। লিটনের ক্ষেত্রে তা আরও বেশিই চলে আসে, কারণ তিনিও তো সম্ভাব্য প্রার্থীদের একজন ছিলেন। খুব বেশি আগের কথা নয়, সম্ভাবনায় এগিয়ে ছিলেন আসলে তিনিই।
জাতীয় দলের নেতৃত্বে তার অভিষেক প্রায় তিন বছর আগে। নিউ জিল্যান্ডে একটি টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করেন তিনিই। তাকে নিয়ে বিসিবির ভবিষ্যৎ ভাবনার প্রতিফলনও পড়ে তাতে।
পরের সময়টায় তা স্পষ্ট হয় আরও। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব তিনি পান। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে চোটের কারণে তামিম ইকবাল ছিটকে পড়ায় নেতৃত্ব দেন লিটন। তার অধিনায়কত্বে দারুণ এক সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ।
সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে গত জুনে টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেকও হয়ে যায় তার। রেকর্ড গড়া ব্যবধানে আফগানিস্তানকে হারায় দল। জুলাইয়ে তামিমের আচমকা অবসরের পর আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচের অধিনায়ক ছিলেন তিনিই। এমনকি ঠিক বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ নেতৃত্ব দেন স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যানই।
লিটনের বিশ্রামে ওই সিরিজের শেষ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন শান্ত। এরপর থেকেই পালাবদলের শুরু। বিশ্বকাপ দলে লিটনের জায়গায় সহ-অধিনায়ক করা হয় শান্তকেই। বিশ্বকাপে সাকিবের চোটের কারণে দুটি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন শান্ত।
বিশ্বকাপের পর দেশের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে পারিবারিক কারণে বিরতি নেন লিটন। সাকিবের চোটে আবারও অধিনায়কত্ব করেন শান্ত। প্রথম টেস্টে দারুণ এক জয় পায় দল, শান্ত করেন সেঞ্চুরি। তার নেতৃত্বের আলো ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পরে যা আরও রোশনাই ছড়ায় নিউ জিল্যান্ড সফরে।
এই সময়টায় নেতৃত্বের অধ্যায় ফিকে হয়ে আসে লিটনের। কীভাবে তিনি অধিনায়কত্বের সম্ভাবনা থেকে এভাবে আড়ালে চলে গেলেন, এই প্রশ্নও তাকে করা হলো। তার ছোট্ট উত্তর, “এটা আমি জানি না। আপনি ভালো প্রশ্ন করতে পারবেন… মানে বোর্ডের কাউকে যদি প্রশ্ন করেন (হাসি)।”
নেতৃত্ব নিয়ে নানা সময়ই নিজের আগ্রহ ও স্বপ্নের কথা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন লিটন। সেই স্বপ্নের প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলো। তিনি অবশ্য গভীরে যেতে চাইলেন না যথারীতি।
“দেখেন ভাইয়া, ওটা অতীত হয়ে গেছে এখন। এখন বিপিএলে আছি, বিপিএল নিয়েই থাকি। যেহেতু এর মধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছে, এটা নিয়ে তো আর কথা বলার কিছু নেই।”