নিজস্ব প্রতিবেদন:রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি থেকে নেমে সড়কে ওঠার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাভার্ডভ্যান পন্টুন পেরিয়ে নদীতে পড়েছে। এতে কোনো হতাহত না হলেও জ্ঞান হারানো চালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল পৌনে ১০ টার দিকে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রাণ কোম্পানির ওই কাভার্ডভ্যানটি নদীর স্রোতে ভেসে চড়ায় আটকে থাকতে দেখা যায়। তার চালক শাহিন মালিথাকে (২৮) অসুস্থ অবস্থায় গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সরেজমিন অনুসন্ধানকালে স্থানীয় প্রত্যাক্ষ দর্শিরা জানান, বিআইডব্লিউটিসির এনায়েতপুরী নামে একটি রো রো ফেরি পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে এসে সকাল ১০টার আগে দৌলতদিয়া ঘাটের পন্টুনে ভেড়ে। এরপর ওই ফেরি থেকে নেমে পন্টুন হয়ে দুর্ঘটনা কবলিত ওই কাভার্ডভ্যানটি অতি উঁচু চড়ান (ডাইভিশন) মেরে অ্যাপ্রোস সড়ক হয়ে সড়কে উঠতে ব্যর্থ হয়ে আটকা পড়ে। তখন ভ্যানটি পেছনে ফিরে গিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্ত ভ্যানটি তখন ব্রেক ফেল করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন ফিরে পন্টুনের ওপর দিয়ে নদীতে পড়ে যায়।
একপর্যায় কাভার্ড ভ্যানটি নদীতে পড়ে চালকসহ ডুবে যাওয়ার মুহূর্তে ফেরিতে থাকা লোকজন হাত নেড়ে তার চালক শাহিন মালিথাকে দ্রুত ভ্যান থেকে বেরিয়ে আসতে বলে। তখন সে জানালা দিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর পন্টুনের ওপরে থাকা লোকজন রশি ফেলে দেয়। সে রশি ধরলে লোকজন তাকে ওপরে টেনে তোলে। ওপরে ওঠার পর সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিসের টিম ও পুলিশ তাকে দ্রুত হসপিটালে নিয়ে যায়। ততোক্ষণে কাভার্ড ভ্যানটি স্রোতের টানে ভাসতে ভাসতে ফেরি ঘাট থেকে প্রায় ৪০০ গজ দূরে গিয়ে চড়ায় আটকে পড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে নদীর পানি কমে ঘাটের পন্টুন নীচে নেমে গেছে। গাড়ীগুলো অনেক ঝুঁকি নিয়ে পন্টুন পেড়িয়ে ফেরিতে ওঠা নামা করে। কিন্তু কতৃপক্ষ কোনো সংস্কার বা নজরদারি করছে না। এতেকরে মাঝে মাঝেই এমন ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটে। আজকের এমন ঘটনায় ফেরীর পন্টুনে লোকজনের ভীর থাকলে অনেক প্রাণহানি ঘটতে পাড়তো। এখনো কতৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো: সালাউদ্দিন বলেন, পদ্মায় পানির স্তর কমে পন্টুনগুলো অনেক নিচে নেমে গেছে। এতেকরে ফেরিঘাট গুলোতে যানবাহন ওঠানামা করতে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যখন হাই ওয়াটারে আসবে তখন পন্টুন উঁচু হলে আর এই সমস্যাগুলো থাকবে না।