মো.নজরুল ইসলাম ,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল আউয়াল হত্যাকান্ডের সাতদিন পর হত্যার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘটন ও সরাসরি হত্যার সাথে জড়িত এক আসামি গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এনিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন , পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রমাসন) মো. ইবনে মিজান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. ইব্রাহিম হোসেন, ব্রæব জ্যোতিময় গোপ ( এ সার্কেল), সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুব আলম, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মিলন কুমার চ্যাটাজ্জী প্রমুখ।
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজীপুর জেলার বাসন খানার সাদুর বাজার হতে গ্রেপ্তারকৃত সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দারগার খামার মাঝিপাড়া গ্রামের নিদেন চন্দ্র দাসের ছেলে হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত নীল বাবু চন্দ্র দাসের দেয়া বর্ননামতে প্রেসব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার।
জানা যায়, মোবাইল ফোনে জুয়া খেলার টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে ইসমাইল হোসেন ও নীল বাবু চন্দ্র দাস দু’জন মিলে আব্দুল আউয়ালকে দ্যা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ধানক্ষেত ফেলে রেখে চলে যায়। বর্তমানে অপর আসামি ইসমাইল হোসেন পলাতক রয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দ্যা, রক্তমাখা লুঙি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত ১৩ মার্চ বুধবার রাতে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের মাঠের হাট শ্মশান চৌকিদারের ঘাট এলাকায় ধান ক্ষেতে মোবাইল ব্যাংকিং ও রিচার্জ ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়ালকে গলা কেটে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় দুবৃত্তরা এবং ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত আব্দুল আউয়াল দোকান হতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজা খুজি শুরু করে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ধানক্ষেতে সেচ মটারের পানি দিতে গিয়ে স্থানীয় একজন কৃষক মরদেহটি ধানক্ষেতে পরে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। স্থানীয়রা এসে থানা পুলিশকে খবর দিলে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত আব্দুল আউয়াল গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বর্মতত গ্রামের মো. হাফিজার রহমানের ছেলে।
এ নিয়ে নিহতের বাবা মো. হাফিজার রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে থানায় মামলা করে। এ ব্যাপারে থানার ওসি মো. মাহবুব আলম জানান, অপর আসামি গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।