এম আর অভি, বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনা শহরের ঢলুয়া এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত লেপতোষকের তুলার গোডাউন ও আইসক্রিম ডিলার পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সংসদ -৩১৪ মহিলা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফারজানা সুমি।
(২২- মার্চ) শুক্রবার সকালে শহরের ঢলুয়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তুলার গোডাউন পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খোঁজ খবর নেন এবং যে কোন ধরনের সহায়তা প্রদান করা আশ্বাস দেন এ সময় তিনি।
উল্লেখ্য গত ২০ মার্চ রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া এলাকায় একটি লেপতোষকের তুলার গোডাউন ও আইসক্রিম ডিলার পয়েন্ট ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ।
এতে ৪ ব্যবসায়ী সোহেল, ইব্রাহিম ও মামুন আকন এবং আদিলুর রহমান তাদের সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। আগুনের লেলিহান শিখায় তাদের প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জানাগেছে, বুধবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শহরের ব্যবসায়ী মামুন , সোহেল এবং ইব্রাহিম আকনের লেপতোষকের গোডাউন ও আদিলুর রহমানের আইসক্রিম ডিলার পয়েন্টে আগুন লাগে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘন্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে লেপতোষকের তুলার গোডাউন ও আইসক্রিম ডিলার পয়েন্ট এর চারটি ফ্রিজ নিমেষেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী তুলার গোডাউন শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, তুলার গোডাউনে আমি কাজ করছিলাম। হঠাৎ তুলায় আগুন দেখে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। পাশেই আনসার ক্যাম্প ।
আমি সেখানে গিয়ে আনসার সদস্যদের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দি। তিনি আরো জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আইসক্রিম ব্যবসায়ী আদিলুর রহমানের পিতা এ জেড এম সালেহ ফারুক বলেন, আমার ছেলের চারটি ফ্রিজ আগুনে পুড়ে এককভাবে তার প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে লেপতোষক ব্যবসায়ী মামুন বলেন, আমাদের তুলার গুদামে আগুনে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বরগুনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এর ডিএডি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে আসি। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার তাদের এখানে আনসার ক্যাম্পের অস্ত্রের গোডাউনের সাথে গাঁ ঘেঁষে একটি তুলারমিল। আমরা একসাথে দুটি গাড়ী আসি। আমাদের পানিবাহী গাড়ী থেকে দুটি লাইনদি ।
পরে আরো দুটি লাইন দেই। আগুন যাতে আনসার ক্যাম্পের অস্ত্রের গোডাউনের দিকে না আসে। আমাদের যে টিমটি কাজ করেছে তা অত্যন্ত এক্সপার্ট ছিল। আগুন চারদিক থেকে ঘিরে ফেলি আগুন আর বাড়তে পারেনি।
তাই দ্রুত আগুন থামাতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমরা আসার পরে ১০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন লাগতে পারে।
এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র রইসুল আলম রিপন, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাসেল ফরাজী,অ্যডভোকেট আব্দুল ওয়াসিম মতিনসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত হন।