মো.নজরুল ইসলাম ,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের গোপাল চরণ গ্রামের গৃহবধূ মাহমুদা বেগমের (২৪) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী আব্দুল মালেক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে আব্দুল মালেক শয়ন ঘরের ধর্নার সাথে গলায় শাড়ীর ওড়না দিয়ে ঝুলানো অবস্থায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই গৃহবধূর ভাই ফারুক হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে স্বামী আব্দুল মালেক মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক বিষয় নিয়ে কলহ গেলেই আসছিল। ঘটনার দিন বুধবার রাতে ইফতারের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক বিতন্ডার ঘটনা ঘটে।
এর কিছুক্ষণ পর পরিবারের লোকজন চিৎকার করতে থাকে মাহমুদা বেগম গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছে। স্থানীয়রা এসে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফাঁস থেকে লাশ নামিয়ে সুরুত হাল রিপোর্ট করে।
গৃহবধূ মাহমুদা বেগমের ভাই মো. ফারুক হোসেনের ভাষ্য, তার ভগ্নিপতি আব্দুল মালেক তার বোনকে পিঠিয়ে হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁিচয়ে ফাঁসের মধ্যে ঝুলিয়ে রেখেছে। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে তার বোনের হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি তার। তিনি আরও বলেন, দুই কন্যা সন্তানের জননী তার বোন। বিয়ের পর থেকে আব্দুল মালেক তার বোনকে শারীরিক ও মানষিক ভাবে আত্যচার করে আসছিল।
মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই মো. সাইদুর রহমান জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিস্কার হওয়া যাবে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। থানার ওসি মো. মাহবুব আলম জানান, গৃহবধূর ভাই ফারুক হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। রাতেই স্বামী আব্দুল মালেক মিয়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।