এম আর অভি, বরগুনা প্রতিনিধি: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করনের ব্যবস্থা করে দিবে বলে প্রায় ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া ভুয়া উপসচিব পরিচয়দানকারী আসাদুজ্জামান মানিক ওরফে লুৎফর রহমান (৫০) তার দুই স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৫) এবং রোকসনা বেগম (৪০) কে কারাগারে পাঠিয়েছেন বরগুনার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল এর বিচারক মো. হারুন অর রশীদ ।
জানাগেছে, মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এএসসি ভোকেশনাল শাখার শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আবেদন করেন পূর্ব হাজার বিঘা বটতলা সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম।
২০২১ সালের ১৫ মার্চ আসাদুজ্জামান মানিক ওরফে লুৎফর রহমান নিজেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে কর্মরত আছেন বলে মোবাইলে ভুয়া পরিচয় দেন এবং এএসসি শাখার এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলে পূর্ব হাজার বিঘা বটতলা সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ঐ অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম এর কাছ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ১৩ লাখ ৭০ হাজার নগদ টাকাসহ প্রতারণা মাধ্যমে একটি চেকের পাতা হাতিয়ে নেন ।
পরে এ ঘটনায় ভুয়া উপসচিব পরিচয়দানকারী আসাদুজ্জামান মানিক ওরফে লুৎফর রহমান ও তার দুই স্ত্রী সুফিয়া বেগম ও রোকসনা বেগমসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ আসামি করে অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম বাদী হয়ে এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত ২৫ শে মার্চ মামলার এজাহার নামীয় আসামি ভুয়া উপসচিব পরিচয়দানকারী আসাদুজ্জামান মানিক ওরফে লুৎফর রহমান ও তার দুই স্ত্রী সুফিয়া বেগম ও রোকসনা বেগম হাজির হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসাদুজ্জামান মানিক ওরফে লুৎফর রহমান গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার মৃত আজগর আলীর পুত্র । বাদীপক্ষের আইনজীবী আনিসুর রহমান মিলন জানান, আসামি ভুয়া উপসচিব পরিচয়দানকারী আসাদুজ্জামান মানিক ওরফে লুৎফর রহমান সহ তার দুই স্ত্রী সুফিয়া বেগম ও রোকসনা বেগমকে সি ডব্লিউ মূলে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।