ধারীধারীরাশামীম রেজা ডাফরুল, গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে টিসিবির পণ্য বিক্রি এখনো শুরু হয়নি। রমযানের ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও ১৯ ডিলারের কেউই টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু করেননি। ফলে কম দামে পণ্য কিনতে না পারায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টিসিবি কার্ডধারী সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, প্রতিবছর রমযানে নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকারি সংস্থা টিসিবি (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) টিসিবি কার্ডধারীদের মাঝে পণ্য বিক্রি শুরু করে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৯ জন ডিলার এখনো তাদের পণ্য বিক্রি শুরু করেনি। ফলে সরকারের এ উদ্যোগের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করতে ১৯ জন ডিলার রয়েছেন। এরা হলেন- মেসার্স স্বপ্নীল স্টোর, মেসার্স এন আর ট্রেডার্র্স, মেসার্স আমিনুল মমিন, মেসার্স রংধনু ট্রেডার্স, মেসার্স ভাই ভাই কৃষি ঘর, , মেসার্স রোকেয়া এন্ড কনজুমার্স, মেসার্স মা বাবা ট্রেডার্স, মেসার্স ইব্রাহিম ট্রেডার্স, মেসার্স জয়শ্রী এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মেহেদী ট্রেডার্স, মেসার্স উৎপল ট্রেডার্স, মেসার্স মদিনা ট্রেডার্স, মেসার্স মাসুদ ট্রেডার্স, মেসার্স নাইম ভ্যারাইটি স্টোর, মেসার্স ভাই বোন ট্রেডার্স, মেসার্স কে এন ট্রেডার্স, মেসার্স হাই ট্রেডার্স, মেসার্স মাসুদ সিডস, মেসার্স ¯েœহা ট্রেডার্স।
যোগাযোগ করা হলে টিসিবির ডিলার মেহেদী ট্রেডার্স এর স্বত্তাধিকারী মেহেদী মামুন জানান, আমরা এখন পর্যন্ত টিসিবি’র পন্য বরাদ্দ পাইনি। তাই টিসিবি পণ্য বিক্রি করতেও পারেনি।
বাজারে পণ্য কিনতে আসা গোবিন্দগঞ্জ শহরের টিসিবি কার্ডধারী জনৈক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রমযানের ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারি সংস্থা টিসিবি’র কম দামে পণ্য ক্রয় তেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। রমযানের প্রথম সপ্তাহে টিসিবি’র কমমূল্যের পন্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু করলে আমরা অনেক সুবিধা পেতাম। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী জানান, আমি সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করে যাচ্ছি। তেলের বরাদ্দ দেরীতে পাওয়ায় ডিলারদের বরাদ্দ দিতে দেরী হচ্ছে। তবে ২/৩দিনে মধ্যে ডিলাররা বরাদ্দ পাবেন এবং তখন কমমূল্যের টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু হবে।