এম আর অভি, বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঘুষ দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে ইবাদ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মোঃ শহিদুল ইকবাল এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী ।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বরগুনা এলজিইডির কর্মকর্তাদের ঘুষ না দিয়ে কাজ পাওয়া বা সম্পন্ন করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। বরগুনা এলজিইডির আওতায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো সংস্কার শীর্ষক প্রকল্পের তিনটি কাজ পেতে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫ লাখ টাকা ঘুষ দেন ওই ভূক্তভোগী ঠিকাদার ।
মৌখিক চুক্তিমতে মেসার্স বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামের তিনটি কাজ ঠিকাদার শহিদুল ইকবালকে দেওয়ার কথা। কিন্তু ঐ প্রকৌশলী আরও বেশি টাকা ঘুষ নিয়ে তিনটি কাজই অন্য ঠিকাদারকে দিয়েছেন এমন অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী ঠিকাদার ।
এছাড়াও তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন সহকারী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান নিজেই চাকুরির পাশাপাশি ঠিকাদারিও করেন। তিনি কুষ্টিয়ার সৈকত এন্টারপ্রাইজ ও চট্টগ্রামের ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্স নামের দুটি লাইসেন্স ব্যবহার করে নিজেই কাজ করছেন।
এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রিয় মুখার্জি মোবাইল ফোনে বলেন , একজন ঠিকাদারের অভিযোগের ভিত্তিতে হেডকোয়ার্টার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল ।
তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবে । তিনি আরো বলেন, তদন্ত চলাকালে কতিপয় ঠিকাদার অফিসে ঝটলাপাকায়। যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে জন্য অফিসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (পুলিশের) উপস্থিতি ছিল।
উল্লেখ্য বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির)। এর পূর্বে আমতলীতে ভৌতিক প্রকল্প,হিসাব রক্ষক হুমায়ুন কবিরসহ কর্মকর্তাদের ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল, বরগুনা সদর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ও ঠিকাদারের মধ্যে ঘুষ নিয়ে মারামারির ভিডিও ভাইরাল ।