নিজস্ব প্রতিবেদন:
দেশের কোথাও আজ পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। চাঁদ দেখাসাপেক্ষে ঈদুল ফিতরের দিন নির্ধারণে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি সভায় বসবে। দেশের আকাশে কোথাও চাঁদ দেখা গেলে বুধবার ঈদ অনুষ্ঠিত হবে, আর চাঁদ না দেখা গেলে পরদিন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল ফিতর।
ঈদুল ফিতরের দিন ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন ঈদের মাঠ ও মসজিদে মুসল্লিরা দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন। প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান।
সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাতে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক ইমামতি করবেন। এরপর সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম ইমামতি করবেন। সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। সর্বশেষ পঞ্চম জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এতে আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন ইমামতি করবেন।
ঈদের প্রধান জামাত সাড়ে ৮টায়
ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ঈদগাহে এই ঈদ জামাতে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এরই মধ্যে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে নগর কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল সোমবার ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের গণমাধ্যমকে জানান, আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঈদ জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সরেজমিন পরিদর্শন করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএসসিসির তথ্য বলছে, ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করবেন। এ ছাড়া অনেক মুসল্লি মূল প্যান্ডেলের বাইরে ঈদের জামাত আদায় করে থাকেন। ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান কারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।