সোহেল সানী, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
বিধি অনুযায়ী সরকারি কলেজে কর্মরত পিএইচডি ডিগ্রীধারী শিক্ষকদের ন্যায় সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এমপিওভূক্ত ২০ বেসরকারি কলেজের পিএইচডি ডিগ্রীধারী ২২ জন শিক্ষকদেরও অবিলম্বে তাদের চাকরিতে যোগদান কালীন অগ্রিম বিশেষ আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবী জানিয়েছেন ‘বেসরকারি কলেজ পিএইচডি শিক্ষক ফোরাম’- কেন্দ্রীয় সম্পাদক ড. এমদাদুল ইসলাম।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি পার্বতীপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে সারাদেশে এমপিওভূক্ত বে-সরকারি কলেজের পিএইচডি শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত তিনটি অগ্রিম বেতন বৃদ্ধি চালুর এ দাবী জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘বে-সরকারি কলেজ পিএইচডি শিক্ষক ফোরামে’র রংপুর বিভাগীয় সভাপতি ড. মো: জালাল উদ্দীন মোল্লা, ড. মোহাম্মদ শাহীন আখতার, ড. মো: লোকমান হাকিম, ড. সৈয়দ রেদওয়ানুল রহমান, ড. জুলাইখা গুলসান আরা, ড. মারুফা বেগম, ড. মো: আব্দুস ছালাম ও ড. মো: ছাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর ঘোষিত গেজেটে ইতিপূর্বের ২০১৫ ও ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন (বেতন-ভাতাদি) আদেশ সংশোধন করে ওই গেজেট প্রকাশ করা হয়।
এতে সরকারি ও এমপিওভুক্ত বে-সরকারি কলেজের পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের জন্য তিনটি অগ্রিম বেতন বৃদ্ধির সুবিধা প্রাপ্তির ব্যবস্থা রাখা হয়।
কিন্তু সরকারি কলেজের পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকরা এ সুবিধা ভোগ করে আসলেও বে-সরকারি কলেজের পিএইচডি ডিগ্রীধারী শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।
এদিকে, তিনটি অগ্রিম বেতন বৃদ্ধির সুবিধা বঞ্চিত বে-সরকারি কলেজের পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকগণ শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট এ সুবিধা চালুর জন্য বার বার আবেদন করেছেন।
কিন্তু কোন সাড়া মেলেনি। অবশেষে, ভুক্তভোগি পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের পক্ষে ড. মোঃ জালাল উদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে গত ২২ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাত কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে উচ্চতর আদালতে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন।
গত ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মোছাঃ নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোছাঃ কাজী জিনাত হক সমন্ময়ে গঠিত বেঞ্চ বাদির পক্ষে আদেশ প্রদান করেন।
এর আগে বাদী ড. মোঃ জালাল উদ্দিন মোল্লা ২০২৩ সালের ১৬ আগষ্ট শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, মহা-পরিচালক মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও পরিচালক মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুরের নিকট তিনটি অগ্রিম বেতন বৃদ্ধির সুবিধা প্রাপ্তির আবেদন করে ব্যর্থ হলে উদ্ধর্তন আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।