নিজস্ব প্রতিবেদন:টাঙ্গাইলে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি বলে বিষয়টি উঠে এসেছে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ সালের জেলা রিপোর্ট। জেলার সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিসংখ্যানের যৌথভাবে আয়োজিত জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ সালের জেলা রিপোর্ট প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে সভার তথ্য মতে, জেলায় মোট জনসংখ্যা ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৬০৮ জন। এর বিপরীতে নারী ২০ লাখ ৯১ হাজার ৪৯০ এবং পুরুষ ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮২৬ জন। সভা শুরু করার আগে সকালে জনশুমারি ও গৃহগণনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ সময় জেলার সব ইউএনও উপস্থিত ছিলেন।
এতে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৪ বেশি। অপরদিকে ২৯২ জন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজরা) মানুষ রয়েছেন।
সভার তথ্য থেকে জানা যায়, জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৮২২ জন। এর বিপরীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা রয়েছে দুই লাখ ৫৭ হাজার ৩৫১ জন। অপরদিকে খ্রিস্টান ১৫ হাজার ১৯১ জন, বৌদ্ধ ২৬৪ জন এবং অন্যান্য ধর্মের লোক রয়েছে এক হাজার ৯৮০ জন।
চাকা পাংচার হয়ে উল্টে গেল যাত্রীবোঝাই বাস
জেলায় ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ৩৬ লাখ ৫ হাজার ৮৩ জন। সর্বশেষ ২০২২ সালের শুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৬০৮ জন। সে হিসাবে টাঙ্গাইলে নতুন করে জনসংখ্যা বেড়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ২৫ জন।
জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার জনসংখ্যা ৬ লাখ ১ হাজার ২২৭ জন। ধনবাড়ী উপজেলায় এক লাখ ৮৯ হাজার ১২৯ জন। বাসাইল উপজেলায় এক লাখ ৮৮ হাজার ৯৩৬ জন, ভূঞাপুর উপজেলায় দুই লাখ ১৭ হাজার ৩২৭ জন, দেলদুয়ার উপজেলায় দুই লাখ ১৮ হাজার ৭৪৫ জন, ঘাটাইল উপজেলায় ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪২ জন, গোপালপুর উপজেলায় দুই লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন, কালিহাতী উপজেলায় ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭৭ জন, মধুপুর উপজেলায় ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯৩ জন, মির্জাপুর উপজেলায় ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬৫৮ জন, নাগরপুর উপজেলায় ৩ লাখ ১৯ হাজার ২৯৬ জন এবং সখীপুর উপজেলায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৩৪৫ জন মানুষ রয়েছে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুর রহমান, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।