এম আর অভি, বরগুনা প্রতিনিধি:বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনায়েত প্যাদা কতৃক এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৯ এপ্রিল তালতলী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা তুলে নেয়ার জন্য মামলার বাদী হালিমা বেগমকে ওই ইউপি সদস্য বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এর প্রতিবাদে (২২- মে) সোমবার বেলা ১১টায় বরগুনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী জানান, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনায়েত প্যাদা সহ আরো ৩ জন মিলে এ বছরের ৯ এপ্রিল রাত আড়াইটার দিকে তাকে (ভিকটিমের) হাত-পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে ওই দিনই ভিকটিম বাদী হয়ে তালতলী থানায় জিআর ৪০/২০২৩ মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের করার পর থেকেই আসামি এনায়েত প্যাদা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা তালতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ফরিদুল ইসলামের নিকট বাদী গেলে তিনি বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
এবং বিভিন্ন মামলায় ঝরানোর হুমকি দেয় এবং মামলার ২ নম্বর সাক্ষী তৃতীয় লিঙ্গের রুববানীকে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে জেলে পাঠায় পুলিশ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাদী হালিমা বেগম সংবাদ সম্মেলনে বলেন মামলা তুলে নিতে আসামি ইউপি সদস্য এনায়েত প্যাদা হুমকি দেয় এবং তালতলী থানার ওসি ও তদন্তকারী কর্মকর্তা আবাসন ঘর, টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়।
তাতেও আমি মামলা তুলে নিতে রাজি না হলে পুলিশ মামলার সাক্ষী আমার বোন তৃতীয় লিঙ্গের রুববানীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়। আমার বোন রুববানী বর্তমানে জামিনে আছে। এর আমি সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখায়াৎ হোসেন এর কাছে সংবাদ কর্মীরা মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। এ মামলায় ১ জন আসামি ,সে জামিনে আছেন।